খাঁটি ঘি খাওয়ার উপকারিতা
আয়ুর্বেদিক মতে ঘি কে শরীরের জন্য খুবই উপকারী মনে করা হয়। এটি আমাদের শরীরে সপ্ত ধাতু ভালো রাখে। শুধু তাই না ঘিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, চর্বিতে দ্রবণীয় ভিটামিন যেমন ভিটামিন এ, ই এবং ভিটামিন ডি। আমাদের শারীরিক বৃদ্ধি তরান্বিত করে ঘি।
এখন প্রশ্ন হলো গরু না মহিষের দুধের তৈরি ঘি শরীরের জন্য ভালো? উত্তর হলো গরুর দুধের তৈরি ঘি।

ঘিয়ের উপকারিতা:
গরুর ঘি কোলেস্টেরলের সমস্যার চিকিৎসায় খুবই উপকারী। গরুর ঘি আপনার দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় রাখলে যেসব সুবিধা পাওয়া যাবে চলুন জেনে নেওয়া যাক:
১. গ্যাস্ট্রিক ও হজমের সমস্যা দূর করে।
২. চোখের জ্যাতি বাড়ায়।
৩. মানসিক চাপ,উদ্বেগ কমিয়ে ক্যান্সার ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
৪. ঘি হলো প্রদাহ বিরোধী।
৫. ক্ষুধা বাড়াতে সাহায্য করে ঘি।
৬. গর্ভকালীন ঘি খাওয়া অনেক উপকারী। তবে চিকিৎসকের সাথে অবশ্যই পরামর্শ করে নিতে হবে।
৭. ঘি খেলে মিনারেল ও ফ্যাটি এসিড ভালোভাবে শোষিত হয়।
৮. ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে ঘি। এছাড়া মুখের ঘাসহ যেকোন সমস্যা দূরে রাখে।
৯. দৃষ্টি শক্তি ভালো থাকে এবং দৃষ্টিশক্তি কম থাকলে তা ভালো করার চেষ্টা করবে।
১০. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে।
১১. ফ্যাটি এসিড প্রতিরোধ করে ডায়াবেটিস, ক্যান্সার ও হার্ট এ্যাটাকের মতো বিভিন্ন ধরনের মারাত্মক রোগের ঝুকি কমায়।
১২. খাবার তাড়াতাড়ি হজম করতে সাহায্য করে ঘি।
১৩. কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ দূর করার ঘি জন্য এর ব্যবহারে বিশেষ ফল পাওয়া যায়।
ঘি পুষ্টিকর ও নিরাময়কারী। কেউ ওজন কমানোর জন্য ঘি খেয়ে থাকে আবার কেউ ওজন বাড়াতে। হার্টের যেকোন সমস্যায় ঘি অত্যন্ত উপকারী। এজন্য শরীরের সুস্থতার কথা বিবেচনা করে ঘি খাওয়া শুরু করুন।
সূত্র: হেলথ শটস